সবকিছু মাথায় রেখে ছিঁড়ে ফেলার দিকে যেতে চান না :তাসকিন
দলের হয়ে আসা তাসকিনের কাছে প্রশ্ন গেল, ইন্ডিয়ার আগ্রাসী ক্রিকেটের জবাবে কী করবেন আপনারা
বছরে টেস্ট ক্রিকেটের ধরণ বদলে দিয়েছে ইংল্যান্ড। আগ্রাসী খেলা নিয়ে এসেছে দীর্ঘতম সংস্করণেও অবিশ্বাস্য ব্যাপারও ঘটিয়ে ফেলছে তারা। ব্যাট হাতে রান উঠছে দ্রুতগতিতে, বোলিংয়েও থাকছে আক্রমণের ছাপ। বুধবার হতে চালু হলো বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট সিরিজ।
সোমবার দু দলের অনুশীলনের আগে-পরের সংবাদ সম্মেলনেও এলো প্রসঙ্গটি। ভারত অধিনায়ক লোকেশ রাহুল জানালেন, ইংল্যান্ডের মতো না হলেও আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে চান তারাও। এমন হলে বাংলাদেশের বোলারদের জন্যও বাড়বে চ্যালেঞ্জ। সবকিছু মাথায় রেখে তাসকিনও ‘ছিঁড়ে ফেলার’ দিকে যেতে চান না।
দলের হয়ে আসা তাসকিনের কাছে প্রশ্ন গেল, ইন্ডিয়ার আগ্রাসী ক্রিকেটের জবাবে কী করবেন আপনারা? তিনি বললেন, ‘নির্দিষ্ট দিন ও সিচুয়েশন রিড করে যে প্রিপারেশন আছে ওইটা ওই সময় ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি ওরা আগ্রাসী খেলে, আমাদের ডিফেন্সিভ থেকে ওদের ধৈর্য ভাঙতে হবে। নির্ভর করবে কী ধরণের ওরা খেলতে চাচ্ছে ওই সময়। ’
চলতি বছর আট টেস্টে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৬টিতেই হারতে হয়েছে, এক ম্যাচে ড্র। জয়টি অবশ্য আগত নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের মাটিতেই। ওই সুখস্মৃতি মাথায় রাখছেন তাসকিন। চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হবে অনুমিতই। তাসকিন বলছেন, ৫ম দিনে টেস্ট নিয়ে যেতে পারলেই সম্ভব ভালো কিছুর।
তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মধ্যে চট্টগ্রামই একমাত্র গ্রাউন্ড যেটাকে ব্যাটিং স্বর্গ বলা যেতে পারে। টেস্ট ক্রিকেটে পেস বোলারদের জন্য কখনই সোজা হয়নি (উইকেট)। যদিও আল্লাহ রহমতে উন্নতি হচ্ছে অথচ কখনই আমরা সহজ উইকেট পাইনি। বেশিরভাগ কন্ডিশনে আমাদের সাথে ব্যাটিং ট্র্যাকই বানানো হয়। ’
‘এটা আমাদের জন্য সকল সময় চ্যালেঞ্জিং। বেশ ভালো দিক যে উন্নয়ন করছি। যতগুলো টেস্ট জিতেছি আমরা দেখে গেছে পঞ্চম দিনে খেলা নিয়ে গেছি। এইখানে টার্গেট থাকবে যত চমৎকার উইকেট থাকুক ৫ম দিনে যেতে পারলে সুন্দর কিছু প্রত্যাশা করা যায়। ’
এমন পিচে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপকে আটকাতে কী দরকার? তাসকিন বলছেন, ‘বেসিক জিনিসটাই ঠিক রাখার জন্য হবে। যেহেতু তেমন কয়েকটি থাকবে না উইকেটে। সেক্ষেত্রে দেখা গেছে ডিসিপ্লিন বোলিং। পুরান বলা হয়ে থাকে রিভার্স স্যুইংয়ের চেষ্টা। আমরা ডিসিপ্লিন আর নিয়ে বল করলে ভালো করার সম্ভাবনা আসতে পারে। ’
দলের বোলারদের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘টপ অব অফ। টপ অব বন্ধ ধৈর্য নিয়ে যদি বল করতে পারি। সুন্দর উইকেটে লক্ষ্য যাবে আমরা যদি বেশি উইকেট পেতে জোরাজুরি করতে যাই রান হবে। ও ওরা অনেক ভালো খেলোয়াড়। আমরা যদি জায়গা নিয়ে বল করি। ’
‘নতুন বলে আর্লি একটু স্যুইং করার চেষ্টা। পুরান বলে রিভার্স স্যুইং। ওদেরও ধৈর্যচ্যুতির চেষ্টা করতে হবে। এটা তো কোন সন্দেহই নাই ওদের পরিসংখ্যান পর্যাপ্ত ভাল। বিশ্বে ওরা প্রচুর বড় খেলোয়াড়। আমাদেরকে ধৈর্য রাখতে হবে। বিশেষ করে বোলিং বিভাগকে। ধারাবাহিক থাকতে হবে, ওদের ত্রুটির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। যদি বলি ছিঁড়ে ফেলব ভাই, ফাটায়ে ফেলব এটা ভুল কথা হবে। ’
What's Your Reaction?