দ.কোরিয়ার হৃদয় ভেঙে টিকে রইল ঘানা

বিশ্বকাপের অন্যরকম এক দিন আজ! তা নয়তো কী, দিনের ১ম খেলায় রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচ উপহার দিয়েছে ক্যামেরুন ও সার্বিয়া। ৬ গোলের ম্যাচে বিজয়ের মুখ দেখেনি কেউই।

৩-৩ ব্যবধানে ড্র হয়েছে ম্যাচ। ২য় ম্যাচেও একইরকম উত্তেজনা, একইরকম রোমাঞ্চ। বারুদে ঠাসা এই যুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়ার হৃদয় ভেঙে ৩-২ গোলের বিজয় তুলে নেয় ঘানা। যার ফলে আসরে নিজেদের টিকিয়ে রাখল তারা।

শেষ দিকে এসে কি চেষ্টাটাই না করল দক্ষিণ কোরিয়া। একটি গোল পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন তাদের ১১ মনুষ্য খেলোয়াড়। তা সত্ত্বেও সমাপ্ত পর্যন্ত লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও দুর্দান্তভাবে ফিরে এসেছিল ম্যাচে।   খুব বেশিক্ষণ অবশ্য ঐক্য ধরে রাখতে পারেনি। ৬৮ মিনিটে মোহাম্মেদ কুদুসের দ্বিতীয় গোল তাদের সেই হাসিমুখ মলিন করে দেয়।

পর্তুগালের বিপক্ষে অসাধারণ খেলেও ৩-২ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ঘানাকে। এজন্য টিকে থাকতে আজ বিজয়ের বিকল্প ছিল না তাদের হাতে।  ২৪ মিনিটে গোলের ডেডলক ভাঙেন মোহাম্মেদ সালিসু। জর্দান আয়েউর ক্রস ক্লিয়ার করতে পারেনি দ.কোরিয়ার ডিফেন্ডাররা। জটলা থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের দারুণ শটে ঘানাকে এগিয়ে দেন সালিসু।  পরের গল্পটা কুদুসের।  ৩৪ মিনিটে আয়েউর ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। জোড়া গোলে এগিয়ে হতে বিরতিতে যায় ঘানা।

বিরতির ঘুরে দাঁড়ায় দ.কোরিয়া।  তিন মিনিটের ব্যবধানে দুর্দান্ত দুইটা গোলে এশিয়ার দেশটিকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন চো গুয়ে সুং। ৫৮ এবং ৬১ মিনিটে দুটো গোলই আসে হেড থেকে। তাতে প্রাণ ফিরে পায় দ.কোরিয়া। বিজয়ের খোঁজে আক্রমণে তীর বাড়াতে থাকে আরো। কিন্তু ৬৮ মিনিটে ঘানাকে ফের এগিয়ে দেন কুদুস। উইলিয়ামসের শট দ.কোরিয়া ফুটবলারের গায়ে লাগলেও তা ঠিকই চলে যায় কুদুসের পায়ে।  যেখান থেকে গোল করতে কোনো ভুল করেননি এ মিডফিল্ডার।

ম্যাচের বাকিটা টাইম দ.কোরিয়ার আক্রমণের জলপ্রবাহ সামলাতে ব্যস্ত থাকেন ঘানার গোলকিপার লরেন্স আতি-জিগি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর ইনজুরি সময় ১০ মিনিট যোগ করলেও গোল আর থেকে দেননি তিনি। তাতে জয়ের আমোদ নিয়েই মাঠ ডিস্কাউন্টে ঘানা। ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে 'এইচ' গ্রুপের দুইয়ে আছে তারা। সমান পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পর্তুগাল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে দ.কোরিয়ার সাথে ড্র করা উরুগুয়ের অবস্থান তিনে। আর অল্পসংখ্যক ঘণ্টা বাদে পর্তুগালের মুখোমুখি হবে তারা।