৩০০ স্কুলে শিক্ষার্থীদের দুধ পান করাবে সরকার
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার মেধা সম্পন্ন জাতি গঠনে কাজ করছে। রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল মিল্ক কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার মেধা সম্পন্ন জাতি গঠনে কাজ করছে। রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল মিল্ক কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দেশের ৩০০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বছরব্যাপী বিনামূল্যে দুধ পান করানোর এ পাইলট কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ উদ্বোধনের পরই ৫০টি স্কুলে এ কর্মসূচি শুরু হয়। চলতি বছরের মধ্যেই অন্যান্য স্কুলে ক্রমান্বয়ে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের আওতাভুক্ত ৬১ জেলায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্বাচন করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীকে স্কুল খোলা থাকার দিনগুলোতে টিফিনের সময় দুধ পান করানো হবে।
উন্নত বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষের দুধ পানের পরিমাণ অনেক কম। উন্নত বিশ্বে মাথাপিছু দৈনিক দুধ পানের পরিমাণ গড়ে এক লিটারের কাছাকাছি হলেও বাংলাদেশে তা মাত্র ১৭৬ মিলিলিটার।
শিশুদের অপুষ্টির কথা বিবেচনা করে দেশের ৬১ জেলার ৩০০ উপজেলার তিন শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বছরব্যাপী দুধ খাওয়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
______________________________________________________________
আরও পড়ুনঃ অর্থনীতি চাঙা রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে: প্রধানমন্ত্রী
______________________________________________________________
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) আওতায় এসব বিদ্যালয়ের শিশুদের প্রতিদিন বিনামূল্যে ২০০ মিলিলিটার করে দুধ খাওয়ানো হবে। একদিকে পুষ্টি চাহিদাপূরণ অন্যদিকে পুষ্টিবিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাইলট প্রকল্পটি সফল হলে দেশের সব স্কুল ও শিশুকে এমন কর্মসূচির আওতায় আনা সম্ভব হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রথমত দেশের ৫০টি বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ১১ হাজার ৬৪২ জনের তালিকা করা হয়েছে। আগামী মার্চ মাস থেকে দুধ খাওয়ানো শুরু হবে। যেসব স্কুলে শিক্ষার্থীদের দুধ পান করানো হবে সেখানে সব শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করতে একটি আইডি কার্ড দেয়া হবে। প্রতিটি স্কুলেই শিক্ষক এবং অভিভাবকদের পরিবেশ ও পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলোতে বছরে ১৬০ দিন চলবে এই কার্যক্রম। স্কুলের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির সব শিক্ষার্থী প্রতিদিন দুধ পাবে।
এ বিষয়ে এলডিডিপি প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. গোলাম রব্বানী জানান, উদ্বোধনের পরই মার্চ মাসে ৫০টি স্কুল, জুনের মধ্যে ১০০টি এবং ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো ৩০০ স্কুলে এ কার্যক্রম চালু করব। মূলত দুধ বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে এ কাজটি করতে হচ্ছে। এ কারণে একটু সময় লাগছে। আর স্কুলগুলো নির্ধারণ করে দিচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তিনি আরও বলেন, গরুর দুধ আদর্শ পুষ্টিকর খাবার। তাই শিশুদের দুধ খাওয়ার প্রতি আগ্রহ ও আকৃষ্ট করার পাশাপাশি নিয়মিত দুধ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে স্কুল মিল্ক ফিডিং শুরু হচ্ছে।
What's Your Reaction?