পিরোজপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবলীগ কর্মীর কবজি বিচ্ছিন্ন
পিরোজপুরে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় যোগদান করাকে কেন্দ্র করে কদমতলার যুবলীগের কর্মীকে কুপিয়ে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করেছে প্রতিপক্ষরা। গুরুতর আহত যুবলীগের কর্মী নাদিম খানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আরও একজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।
নিহতের বাড়ি পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী গ্রামে।
আহত যুবলীগ নেতা নাদিম খান (৩২) সদর উপজেলার তেজদাসকাঠী এলাকার নজরুল ইসলাম খানের ছেলে এবং মাসুদ শেখ (২৫) উত্তর কদমতলা এলাকার আব্দুর রহিম শেখের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হাসিবের পিতা ইউনুস বয়াতীর সাথে প্রতিবেশী সাবেক মেম্বার মহারাজের সাথে পারিবারিক বিভিন্ন দ্বন্দ্ব ছিল। বুধবার সন্ধ্যায় ইউনুস বয়াতীর সাথে মহারাজ মোল্লার কথা কাটাকাটি হয়। পরে সন্ধ্যায় হাসিব মহারাজদের বাড়িতে যায়। অনেক সময় গেলে হাসিব বাড়িতে না আসলে স্বজনরা রাত ৮টার দিকে তার খোঁজে বের হলে মহারাজের বাড়ির কাছে ৩নম্বর ওয়ার্ডের নতুন রাস্তার ব্রীজের গোড়ায় তাকে পরে থাকতে দেখে। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে নিহত হাসিবের মা নিরু বেগম জানান, মহারাজ মোল্লার লোকজন সন্ধ্যার পর তার ছেলেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
রাজাপুর থানার এসআই পলাশ হোসেন জানান, খবর পেয়ে রাজাপুর থানা পুলিশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে ঝালকাঠি মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া জানান, হাসিবের পিতা ইউনুস বয়াতীর সাথে সাবেক মেম্বার মহারাজ মোল্লার সম্পর্ক ভালো ছিল না। সন্ধ্যায় ইউনুস বয়াতীর সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে হামলার ঘটনা ঘটে। মরদেহ রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে।
What's Your Reaction?