১ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহীর আট জেলায় পরিবহন ধর্মঘট
মহাসড়কে আটোরিকশা, ইজিবাইক, নছিমন-করিমন ও ভটভটি বন্ধসহ ১১ দফা দাবিতে ১ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহী বিভাগে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে পরিবহন মালিক সমিতি।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, আজ দুপুরে তাঁরা নাটোরে বসেছিলেন। অধিবেশনে রাজশাহী বিভাগের আট জেলার সকল পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজশাহী বিভাগের মহাসড়ক থেকে অবৈধ যান চলাচল অফ না করা হলে তাঁরা আগামী ১ ডিসেম্বর হতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট দেবেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিআরটিএ বরাবর আগামী দুই–এক দিনের ভিতরে ব্যক্তিগত আপন জেলার পরিবহন মালিক সভা আপিল জমা দেবে।
ওই অধিবেশনে অতুলনীয় কুটুম হিসেবে দেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের কমন এডিটর এবং সদর থানা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম। তিনি পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দাবি–দাওয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়ে ওঁদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।
ধর্মঘটের বিষয়ে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার বলেন, কতিপয় উৎসাহী পরিবহন কর্মচারী এবং মালিক সরকারকে এ পরিবহন ধর্মঘটের দ্বারা সাহায্য করছেন। তাঁরা এ রাষ্ট্রের ৯৫ ভাগ মানুষের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র ধর্মঘট নয়, হরতাল ডেকেছেন। অর্থাৎ তাঁরা জনগণের বিরুদ্ধে হরতাল ডেকেছেন। প্রত্যেকটা সমাবেশের আগে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল।
তা সত্ত্বেও অধিবেশন বিপুলভাবে সফল হয়েছে। যত ধর্মঘট আর যা–ই দেওয়া হোক না কেন, রাজশাহীতে আগামী ৩ ডিসেম্বর হলো ঢাকার বাইরে সম্পন্ন গণসমাবেশ। ওই দিন সবচেয়ে বড় গণসমাবেশ হবে। শুধু সমাবেশস্থল মাদ্রাসা মাঠ নয়, একটানা রাজশাহী নগর জনসমুদ্রে পরিণত হবে। আর এ সমাবেশের দ্বারা তাঁরা প্রমাণ করে দেবেন, এই ধরনের ধর্মঘট-হরতাল ডেকে বিএনপির সভা কোনোভাবেই অসমর্থ করা যাবে না।
মতিউল হক বলেন, বিএনপির সমাবেশ সামনে রেখে এরূপ ডিসিশনের ব্যাপারে কোনো উল্লেখ নেই। তাঁরা এই ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে কথা বলা হয় আসছেন। বিভিন্ন টাইম প্রশাসনকে এ ব্যাপারে চিঠিপত্র দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগেও তাঁরা খবর সম্মেলন করে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তাঁরা এই ডিসিশন নিয়েছেন।
What's Your Reaction?