নাজমুল-শান্তর ব্যাটে কোনো উইকেট না হারিয়ে দিনশেষ
বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভারতের বোলারদের কোনো উইকেট দেননি জাকির-শান্ত। ৪২ বলে ২৫ রান করে শান্ত ও ৩০ বলা হয় ১৭ রান করে অপরাজিত আছেন জাকির
পাঁচশ রানের পাহাড়সম টার্গেট দাঁড়িয়ে আছে সামনে। বাংলাদেশ কোন পথে হাঁটবে, তাই ছিল বড় প্রশ্ন।
তার চেয়েও অধিক চ্যালেঞ্জ ছিল দিনের বাকি সময়ে উইকেট না হারানো। নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসানের উদ্বোধনী জুটির কল্যাণে সম্ভব হয়েছে সেটি।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। ৫১৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪২ রান করেছে স্বাগতিকরা। ১ম ইনিংসে ৪০৪ রান করে অলআউট হওয়ার পর দ্বিতীয়টিতে ২ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান করে দিনশেষ করে। নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে গেছে কেবল দেড়শ রানে।
বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভারতের বোলারদের কোনো উইকেট দেননি জাকির-শান্ত। ৪২ বলে ২৫ রান করে শান্ত ও ৩০ বলা হয় ১৭ রান করে অপরাজিত আছেন জাকির।
২৫৪ রানে এগিয়ে হতে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ভারত। দিনের ঘণ্টা ধার করে দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে নামে তারা। ৩য় দিন লাঞ্চের আগে কোনো উইকেট হারায়নি সফরকারীরা। বিরতি থেকে ফিরে অবশ্য বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি লোকেশ রাহুল। ভারতীয় ক্যাপ্টেন খালেদ আহমেদের বলে পুল করতে যান, ফাইন লেগে দারুণ ক্যাচ ধরেন তাইজুল ইসলাম। ৬২ বলে ২৩ রান করেন রাহুল, ভাঙে ৭০ রানের উদ্বোধনী জুটি।
এরপর থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে থাকেন শুভমন গিল ও চেতেশ্বর পূজারা। তাদের দুজনের জুটিতে আসে ১১৩ রান। মাঝে বল করেন ইয়াসির আলি রাব্বি, লিটন ভৃত্য এবং নাজমুল হোসেন শান্তও। ১৫২ বলে ১০ চার এবং ৩ ছক্কায় ১৫২ বলা হয়ে থাকে ১১০ রান করে আউট হন গিল। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির লক্ষ্য পান তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজের বলা হয়ে থাকে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ক্যাচ কর্তৃক সাজঘরে ফেরত যান গিল।
সেঞ্চুরি তুলে নেন পূজারাও। এই ব্যাটার ১৩০ বল খেলে ১০২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২৯ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন কোহলিও।
এর প্রথমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান নিয়ে দিন শুরু করে বাংলাদেশ। ৭৫ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। মেহেদী হাসান মিরাজ ১৬ ও উপাসনা হোসেন ১৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন চালু করেন।
সকালে মিনিট বিশেক কাটিয়ে দেন এ দুই ব্যাটার। ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ বলা হয় ১৭ রান করে কুলদ্বীপ যাদবের বলে আউট হয়ে গেছেন এবাদত হোসেন। টার্ন করা বলে ফ্লিক করতে গিয়ে আউট হন এই ব্যাটার। ফাইফার পূর্ণ হয় যাদবের।
এরপর খালেদ লড়ছিলেন ভালোই। উনি টিকে ছিলেন ১৪ বল, যদিও কোনো রান করতে পারেননি। অথচ অন্যদিকে আউট হয়ে যান মিরাজই। ২ চার এবং ১ ছক্কায় ৮২ বলে ২৫ রান করার পর অক্ষর প্যাটেলের বলে স্টাম্পিং হন তিনি।
ভারতের পক্ষে ১৩ ওভারে ২ মেডেনসহ ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরা
What's Your Reaction?