মুমিনদের জন্য শুক্রবার " আল্লাহর " পক্ষ হতে উপহার

আল্লাহর পক্ষ হতে উপহার : সৃষ্টিকর্তা ভিন্ন নবী-রাসুল ও উম্মতদের চেয়ে আমাদের উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য এ দিনটিকে উত্তম দিন হিসেবে মনোনীত করেছেন

 - 
Dec 9, 2022 - 03:32
 0
মুমিনদের জন্য শুক্রবার " আল্লাহর " পক্ষ হতে উপহার
শুক্রবার এর গুরুত্ব

আল্লাহর পক্ষ হতে উপহার : সৃষ্টিকর্তা ভিন্ন নবী-রাসুল ও  উম্মতদের চেয়ে আমাদের উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য এ দিনটিকে উত্তম দিন হিসেবে মনোনীত করেছেন। এই দিনের ব্যাপারে রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিনের ব্যাপারে সৃষ্টিকর্তা আমাদের পূর্ববর্তীদের পথভ্রষ্ট করেছেন। হিব্রু জাতিদের জন্য (শ্রেষ্ঠ দিন) শনিবার আর খ্রিস্টানদের জন্য রবিবার। কিয়ামতের দিন পর্যন্ত তারা হবে আমাদের পশ্চাদগামী। আমরা পৃথিবীর মধ্যে সর্বশেষ আগমনকারী; কিন্তু সৃষ্টিকুলের বিচার অনুষ্ঠানের দিক থেকে হব সর্বপ্রথম। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১০৮৩)

কবরের আজাব লাঘব করা হয় : শুক্রবার মৃত্যুবরণ করা খাঁটি মুসলিমের সৌভাগ্যের নিদর্শন। কেননা শুক্রবারের বরকতে এ দিনে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তি কবরের আজাব থেকে মুক্তি লাভ করেন। হাদিসের ভাষায়, জুমার দিনে অথবা রাতে কোনো মুসলিম ব্যক্তি যদি মৃত্যুবরণ করে, তাহলে মহান স্রষ্টা তাকে কবরের শাস্তি থেকে রক্ষা করেন। (তিরমিজি, হাদিস : ১০৭৪)

সগিরা গুনাহ মোচন করা হয় :

কোনো মুসলিম যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও জুমার নামাজ নিয়মিত উশুল করে আর কবিরা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকে, তাহলে শুক্রবারের শ্রেষ্ঠত্বের কারণে দুই জুমার মধ্যবর্তী সব সগিরা গোনাহ মোচন করে দেওয়া হয়। (মুসলিম, হাদিস : ২৩৩)

শুক্রবারের পাঁচটি বিশেষত্ব :

স্রষ্টার পক্ষ থেকে শুক্রবার কেবলমাত্র উপহারই নয়; বরং আল্লাহ তাআলা দিনটিকে নানা বিশেষত্বে ভরপুর করে দিয়েছেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ১. এ দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। ২. তাঁকে বিশ্বে প্রেরণ করা হয়েছে। ৩. এ দিনেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ৪. এ দিনে এমন একটি সময় আছে (আসরের পর), এই সময়ে কেউ হারাম বিষয় ব্যতীত অন্য কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা মঞ্জুর করেন। ৫. আর এই দিনই কিয়ামত সংঘটিত হবে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১০৮৪)

পরকালে অগ্রগামী হওয়ার নিদর্শন :  

কিয়ামতের দিন অন্য নবীদের উম্মতদের চেয়ে আমরা থাকব সর্বদিক হতে অগ্রগামী। রাসুল (সা.) বলেছেন, আমরা সর্বশেষ উম্মত; কিন্তু কিয়ামতের দিন আমরা হব অগ্রগামী। যদিও  উম্মতকে কিতাব দেওয়া হয়েছে আমাদের আগে আর আমাদের দেওয়া হয়েছে সবার শেষে। (মুসলিম, হাদিস : ১৮৬৩)

সুরা কাহফ দুই জুমার আলো :

আল্লাহ এ দিনে আর ১টি বিশেষ ছাড় দিয়েছেন সুরা কাহফের তিলাওয়াতের মধ্যে। যে ব্যক্তি বৃহস্পতিবার সূর্যাস্তের পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্তের মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে সুরা কাহফ তিলাওয়াত করবে তার জন্য দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়টি আলোকিত থাকবে। রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহফ পাঠ করবে তার জন্য দুই জুমার মধ্যবর্তী সময় জ্যোতির্ময় হবে। (বাইহাকি, শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৫৯৯৬)

জুম্মার রাত (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত) ও জুম্মার দিনে নবী করিম (সা.) এর প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠের কথা বলা হয়েছে। এমনিতেই যে কোনো সময়ে একবার দরুদ শরিফ পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা পাঠকারীকে দশটা রহমত দান করেন এবং ফেরেশতারা তার জন্য দশবার রহমতের দোয়া করেন। জুম্মার নামাজের পূর্বে দুই খুতবার মাঝখানে হাত না উঠিয়ে মনে মনে দোয়া করা। 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow