অনন্য মাইলফলকের সামনে মেসি

কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বেশ কয়েকটি রেকর্ডের সম্মুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন আর্জেন্টিনার ক্যাপ্টেন লিওনেল মেসি। বিশ্ব ফুটবলের মহারণ শুরুর পর একের পর এক রেকর্ড গড়ছেন তিনি।

যত বেশি ম্যাচ খেলবেন, তত বেশি হবে রেকর্ডের সংখ্যা। আজ শেষ ষোলোর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। ক্যারিয়ারের ১০০০ তম ম্যাচ খেলতে নামবেন দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসি। ম্যাচের আগে নব চুলে ছাঁটে নব রূপে দেখা যাবে এ আর্জেন্টাইনকে।

বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত একটায় আহমাদ বিন আলি স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হাজারতম ম্যাচ খেলতে প্রস্তুত মেসি। ৯৯৬টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বকাপ মিশন চালু করেন সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। আর্জেন্টিনার জাদুকর বার্সেলোনার হয়ে সবচেয়ে অধিক ৭৭৮টি ম্যাচ খেলেছেন। আর বর্তমান ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজির) হয়ে খেলছেন ৫৩টি ম্যাচ। জাতীয় দলের জার্সিতে তিনি খেলেছেন ১৬৮টি ম্যাচ।

কিংবদন্তীকে ছাড়িয়ে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে অধিক ম্যাচ খেলার নজির যাবে তার দখলে। আর এরূপ ম্যাচে যদি মেসি গোল করেন, সে ক্ষেত্রেও মেসি টপকে যাবেন ম্যারাডোনাকে। সমান ৮ গোল নিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে যৌথভাবে দুই নম্বরে আছেন মেসি। সামনে থাকবেন কেবল আরেক স্বদেশি গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা (১০)।

সৌদি আরবের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ১ম ম্যাচ অংশ নিয়ে আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলার রেকর্ড এরই মধ্যে গড়েছেন ৩৫ বছর বয়সী এ তারকা। ২০০৬ সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রতিটি আসরেই খেলেছেন তিনি।

মেসি ছাড়াও আর্জেন্টিনার হয়ে ৪টি করে বিশ্বকাপ খেলেছেন দিয়েগো ম্যারাডোনা ও হাভিয়ের মাশ্চেরানো। গ্রুপপর্বের তিনটি ম্যাচ খেলে আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলার রেকর্ডও এখন মেসির। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার রেকর্ডকেও তিনি ছাড়িয়ে গেছেন। বিশ্বকাপে ২১টি ম্যাচ খেলে শীর্ষে ছিলেন ম্যারাডোনা। কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বের তিন ম্যাচ খেলে মেসির ম্যাচ সংখ্যা ২২।