পরিবর্তিত ব্রাজিলকে গোল করতে দিলো না ক্যামেরুন
পূর্বেই দ্বিতীয়া রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে বসে আছে ব্রাজিলের। তারওপর, দলে বেশ কয়েকটি ইনজুরি ও বেশ কয়েকজন ফ্লু জ্বরে আক্রান্ত। এ কারণে কোচ তিতে ক্যামেরুনের বিপক্ষে পুরো পরিবর্তিত একাদশ মাঠে নামান।
ক্যামেরুনের চান্স বিদ্যমান দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার। তবে সে ক্ষেত্রে হারাতে হবে ব্রাজিলকে। কিন্তু ব্রাজিলের পরিবর্তিত একাদশ খেলেছে নাকি খাঁটি ১১শ খেলেছে বোঝা গেলো না। প্রচুর আক্রমণ করার পরও ক্যামেরুনের জালে বল প্রবশে করাতে পারলো না ব্রাজিল।
বরং, শেষ মুহূর্তে উল্টো ব্রাজিলের জালেই বল প্রবেশ করিয়ে দিয়েছিলো প্রায় ক্যামেরুন। গোলরক্ষক এডারসনের দৃঢ়তায় রক্ষা পেয়েছে সেলেসাওরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের পসরা সাজায় ব্রাজিল। একপাশে মার্টিনেল্লি, অন্যপাশে গ্যাব্রিয়েল হেসুস এবং অ্যান্টোনি। মাঝে ফ্রেড এবং ফ্যাবিনহো। ১ম একাদশের অভাব বুঝতেই দিচ্ছিলেন না তারা। ক্যামেরুনের রক্ষণ ভেঙে বার বার ভেতরে বল নিয়ে প্রবেশ করছিলেন।
বাম সাইডে ভিনিসিয়ুসের জায়গায় আর্সেনাল তারকা মার্টিনেল্লি দারুণ ফুটবল খেলেন। বারবার আক্রমণ শানিয়ে দেন তিনি। কখনো নিজে শট করে গোল করার চেষ্টা করেন। তা সত্ত্বেও কাঙ্খিত গোলটাই বের করতে পারেননি তারা।
১৪তম মিনিটেই মার্টিনেল্লি অসাধারণ এক হেড নেন; তবুও ক্যামেরুন গোলরক্ষক ডেভিস পাসি কোনোমতে পাঞ্চ করে কর্নারের বিনিময়ে গোল রক্ষা করেন।
৩৭তম মিনিটে ফ্রেডের কাছ থেকে বল পেয়ে ডান পাশ থেকে দুর্দান্ত এক শট নিয়েছিলেন অ্যান্টোনি; তা সত্ত্বেও বল চলে যায় সরল ক্যামেরুন গোলরক্ষকের কাছে।
প্রথমার্ধের স্টপেজ সময়ে (৪৫+১ মিনিটে) মার্টিনেল্লির দুর্দান্ত শট কর্নারের বিনিময়ে কোনোমতে রক্ষা করেন ক্যামেরুন গোলরক্ষক।
একই সময়ে কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বলেও গোলের সুযোগ পেয়েছিলো ব্রাজিল। তা সত্ত্বেও রদ্রিগো শটটি বাইরে মেরে দেন।
৪৫+৩ মিনিটে গোলের সুবর্ণ চান্স পেয়েছিলো ক্যামেরুন। ২০ নম্বর জার্সিধারি ব্রায়ান এমবেউমোর অসাধারণ হেড শিওর প্রবেশ করতো ব্রাজিলের জালে; তবুও ক্যামেরুনের দুর্ভাগ্য। গোলরক্ষক এডারসন দারুণ দক্ষতায় সমাপ্ত মুহূর্তে পাঞ্চ করে বলটিকে গোলে প্রবেশ করা থেকে বাঁচান।
What's Your Reaction?