ঋণ গ্রহণীতার পরিচয় ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ হাইকোর্টের

ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম এবং ঋণ মঞ্জুরের চিঠি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে বাংলাদেশ ব্যাংককে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে জানানো হয়েছে। চেক ডিজঅনার সম্পর্কিত মামলায় প্রকাশিত রায় হতে আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে রায় প্রদানকারী বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের সইয়ের পর ১৩ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি পাবলিশ করা হয়। 

বুধবার (৩০ নভেম্বর) রায়ের অনুলিপি হাতে পেয়েছেন ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আলীর আইনজীবী। আজ বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রায়ের কপি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ হতে পারে বলে জানা গেছে। রায়ে  কোর্ট বলছেন, ব্যাংকের টাকা যেহেতু জনগণের টাকা, সেহেতু জনগণের টাকা কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হচ্ছে তা তাদের জানার অধিকার আছে। ‘কোনো ব্যাংক চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না’ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ এই নির্দেশনা দিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংককে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

রায়ে আরও  হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান দিয়ে প্রতিটি ঋণের বিপরীতে ইনস্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি অবিলম্বে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা জারি করবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কী নিয়মে খেলাপি ঋণ সংগ্রহ করবে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখা দিতে হবে স্যাংশন লেটারে। এই ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান দ্বারা সকল দেনা প্রদানে সর্বোচ্চ বিশুদ্ধতা এবং আধুনিকীকরণের পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ প্রদান করবে এবং নিয়মিত বিরতিতে তা দেখাশোনা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে  ২৩ নভেম্বর কোনও ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের মামলা করতে পারবে না বলে রায় দেন হাইকোর্ট। কিন্তু ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেনা আদায়ের জন্য শুধু ২০০৩ সালের অর্থঋণ আইনে বর্ণিত উপায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করতে পারবে বলে জানিয়ে দেন আদালত।