সফল মানুষের ব্যর্থতার গল্প : টমাস আলভা এডিসন
আজকের বিশ্বে এমন কোনও শিক্ষিত মানুষ নেই যে টমাস আলভা এডিসন এর নাম জানে না। বৈদ্যুতিক বাতি, চলচ্চিত্র, অডিও রেকর্ডিং, এনক্রিপটেড টেলিগ্রাফ সিস্টেম, ডিজিটাল ব্যাটারী – এধরনের হাজারের ওপর করে তিনি পৃথিবীকে ঋণী করে গেছেন।
১৮৪৭ সালে আমেরিকার ওহাইওতে জন্ম নেয়া এই জিনিয়াসের ছোটবেলায় ‘স্কারলেট ফিভার’ নামে একটি কঠোর অসুখ হয়, যেটার ফলে তিনি কানে প্রায় শুনতেনই না। তাঁর স্কুল জীবন ছিল মাত্র ১২ সপ্তাহের। কারণ তাঁর পড়াশুনার পারফরমেন্স এতই ভালো না ছিল যে স্কুলে আর ওনাকে রাখতে চাইছিল না। বিদ্যালয় হতে দেয়া চিঠিতে লিখনি ছিল যে টমাস পড়াশুনায় খুবই অমনযোগী ও তার মেধাও বেশ ভালো নয়, এ ধরনের দুর্বল ছাত্রকে বিদ্যালয়ে রাখা যাবে না। তবুও টমাসের প্রসূতি চিঠি খুলে ছেলেকে শুনিয়ে পড়েছিলেন যে, টমাসের মেধা কমন ছাত্রদের চেয়ে পর্যাপ্ত বেশি, এত অধিক বুদ্ধিমান ছাত্রকে পড়ানোর ক্ষমতা কমন বিদ্যালয়ের নেই। কাজেই তাকে যেন বাসায় রেখে পড়ানো হয়। জননীর হতে পাওয়া এই আত্মবিশ্বাস থেকেই টমাস পরে জটিল জটিল সকল ব্যপার নিয়ে পড়াশুনা করতে থাকেন। এবং এই আত্মবিশ্বাসের কারণেই তিনি কোনও কিছুতেই ব্যর্থতাকে মেনে নিতেন না। ইলেক্ট্রিক লাইট আবিষ্কারের সময়ে ১০ হাজার বার তাঁর এক্সপেরিমেন্ট ব্যর্থ হয়েছিল। অথচ উনি অথচ ট্রাই চালিয়ে গেছেন। কারণ ছোটবেলায় তাঁর জন্মদাত্রী তাঁর মনে এই আস্থা ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন যে, কিছুই ইম্পসিবল নয়।
কটু ভাষায় লিখনি সেই চিঠিটি এডিসন অনেক বছর পরে খুঁজে পেয়েছিলেন, তাঁর গর্ভধারিণী সেটা চুরি করে রেখেছিলেন। ততদিনে জননী মারা গেছেন। টমাস হয়ে উঠেছেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও পুঁজিপতি উদ্যোক্তা। চিঠিটি পড়ে টমাস সব বুঝতে পারেন। ও নিজের ডায়েরীতে লেখেন, “টমাস আলভা এডিসন একজন ছিল এক মেধাহীন শিশু। একজন অসাধারণ মায়ের প্রেরণায় সে হয়ে উঠে যুগের সেরা মেধাবী।“
What's Your Reaction?