ইসলামী ব্যাংকের ঋণকাণ্ডে রিট করতে বললেন হাইকোর্ট

ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে কোম্পানী খুলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) হতে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নেয়া ও এস আলম গ্রুপের ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার ঘটনায় রিট করার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

Nov 30, 2022 - 20:48
 0
ইসলামী ব্যাংকের ঋণকাণ্ডে রিট করতে বললেন হাইকোর্ট
ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে দুই কোম্পানি খুলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) হতে দুই হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে ১টি অসাধু চক্র

ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে কোম্পানী খুলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) হতে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নেয়া ও এস আলম গ্রুপের ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার ঘটনায় রিট করার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনলে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ পরামর্শ দেন 

আদালতে বিষয়টি নজরে আনেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। উনি এই সময় আদালতের কাছে আদেশ প্রার্থনা করেন। তখন হাইকোর্ট বলেন, প্রতিবেদনগুলো সংযুক্ত করে রিট আপিল আকারে কোর্টে আসুন। এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও দুদকের  খুরশিদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন 

বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চিঠি পাঠান তিন আইনজীবী। শিশির মনিরসহ সুপ্রিমকোর্টের ওই আইনজীবীরা শনিবার এই চিঠি পাঠান। চিঠিতে  হয়, ‘আমরা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের নিয়মিত গ্রাহক। ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় আমাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আমরা সাধ্যমতো ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করে থাকি।

গত ২৪ নভেম্বর ১টি দৈনিকে ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। চলতি বছর ইসলামী ব্যাংক থেকে আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা তোলা হয়েছে । ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে দুই কোম্পানি খুলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) হতে দুই হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে ১টি অসাধু চক্র।  মিলিয়ে বিভিন্ন নিয়মে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে চলমান বছরেই এই অর্থ নেওয়া হয়। এর ভিতরে সবচেয়ে বেশি অর্থ তুলে নেওয়া হয় চলতি মাসের ১ হতে ১৭ নভেম্বর সময়ে। যেটার পরিমাণ ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। এই জন্যই ব্যাংকটির কর্মকর্তারা চলতি মাসকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ বলে অভিহিত করছেন। ফলে এই তিন ব্যাংকের নিকট প্রতিষ্ঠানগুলোর সুদসহ দেনা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। এমন সময়ে এসব অর্থ তুলে নেওয়া হয়, যখন ব্যাংক খাতে ডলার-সংকটের পর টাকার  বড় আলোচনার বিষয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow