সফল মানুষের ব্যর্থতার গল্প : চার্লি চ্যাপলিন
১৮৮৯ সালে জন্ম নেয়া পৃথিবী বিখ্যাত অভিনেতা ও পরিচালক চার্লি চ্যাপলিনকে তো সবাই চেনে। সিনেমার শুরুর টাইম থেকে আজ পর্যন্ত সকল সিনেমা পাগল ওনাকে ভালোবাসে ও শ্রদ্ধা করে। বিশ্বের সফলতম অভিনেতা ও পরিচালকদের একজন তিনি। কমেডির ভূপতি জানানো হয় তাঁকে। – এসব কথাও সবাই জানে। তাহলে চলুন আজ জেনে নেয়া যাক এরূপ কতিপয় কথা যা সবাই জানে না:
চ্যাপলিনের বাপ ছিলেন একজন পাঁড় মাতাল। কোনও কাজ করতেন না, দিন-রাত মদ খেয়ে পড়ে থাকতেন। চ্যাপলিনের ২ বছর বয়সে তাঁর জন্মদাতা থাকার জায়গা ছেড়ে চলে যান। জননী নামেমাত্র ১টি কাজ করতেন যাতে সংসারের কোনওভাবেই মিটতো না।
৭ বছর বয়সে চার্লি “ওয়ার্কহাউজ” এ যেতে আয়ত্ত হন। সেই সময়ে বৃটেনে গরিবদের জন্য ১টি ব্যবস্থা আরম্ভ ছিল, যেখানে কষ্টের বিনিময়ে আহার ও শোয়ার জায়গা দেয়া হত।
কিছুদিন পর আবার চার্লি ওখান হতে ফিরে আসেন ও আবার তাঁর ৯ বছর বয়সে তাঁর মাতা পাগল হয়ে যান, ও তাকে মানসিক ক্লিনিকে যেতে হয়। মায়ের মানসিক ডাক্তারখানায় যাওয়ার কারণে চ্যাপলিনকে আবারও ওয়ার্কহাউজে ফিরে যেতে হয়। কিছুদিন পর তাঁর জনক লিভার বিকৃত হয়ে মারা যান।
এরপর তাঁর জননীর পাগলামি এতই বেড়ে যায় যে তাকে সকল টাইমের জন্য পাগলা গারদে বন্দী করে রাখার প্রয়োজন পড়ে। চ্যাপলিন ও তাঁর ভাই সিডনি একদম রাস্তায় বসে পড়েন। দিনের পর দিন না খেয়ে রাস্তায় ঘুরে কাটান।
এভাবে চলতে চলতেই এক টাইমে তিনি মঞ্চে কাজ নেন। বিভিন্ন মঞ্চ নাটকে অভিনয় করতে করতে নিজের কমেডি প্রতিভাকে শক্তিশালী করেন। পরে হলিউডে পাড়ি জমিয়ে সর্বকালের সেরা নির্বাক অভিনেতা হয়ে ওঠেন।
What's Your Reaction?