সফল মানুষের ব্যর্থতার গল্প : আলবার্ট আইনস্টাইন
পৃথিবীর ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা বিখ্যাত ও সফল বিজ্ঞানীদের একজন তিনি। উনি এতটাই সফল যে, ‘বিজ্ঞানী’ শব্দটা মাথায় সত্যি বেশিরভাগ ব্যক্তি তাঁর কথা ভাবেন। জগতের ইতিহাসের সেরা সর্বসেরা বুদ্ধিমান জানানো হয়ে যায় তাঁকে। তবুও ১৮৭৯ সালে জন্ম নেয়া এ জার্মান জিনিয়াসকে একটা টাইম পর্যন্ত গর্ধভ মনে করা হত। কিছুতেই উনি অনেক ভালো ছিলেন না। কথা জানানো শিখতেই তাঁর ৪ বছর লেগেছিলো। পড়াশুনায় ছিলেন একদম কাঁচা। ১৬ বছর বয়সে জুরিখের সুইস ফেডারেল পলিটেকনিক স্কুলের ভর্তি পরীক্ষায় শোচনীয় ভাবে ফেল করেন।
ইউনিভার্সিটিতে পড়ার টাইমে প্রতিটি বিষয়ে তিনি এতই কাজে লাগানো যায় না এমন ফলাফল করতেন যে, একাধিক বার পড়াশুনা বাদ দেয়ার ভাবনা করতে হয়েছিল। মারা যাওয়ার সময়ে তাঁর বাবার একমাত্র দু:খ ছিল যে এই গর্ধভ পোলা জীবনে কিছুই করতে পারবে না। বাবার এ কথায় আইনস্টাইন বহুদিন ধরে মনে যন্ত্রণা চেপে রেখেছিলেন।
কোনও কাজ না পেয়ে তিনি আয়ত্ত হয়ে ইন্সুরেন্স সেলস ম্যানের কাজ নেন। কোনও কাজ না পারলে মানুষ এই ধরনের জব করতো। ২ বছর পর তিনি পেটেন্ট কাজের জায়গায় কাজ পান। যেখানে নতুন ডিভাইস পেটেন্ট করার আগে এক্সাম করা হতো।
কিন্তু একটা টাইমে এ মানুষটাই জগতের চেহারা পাল্টে দিয়েছেন। তাঁর সেই ‘ডাল ব্রেন’ নিয়ে তিনি পদার্থ বিজ্ঞানের বেশ কয়েকটি আসল সূত্র সৃষ্টি করে গেছেন। বিজ্ঞানে অবদানের জন্য নোবেল ট্রফি জিতেছেন। প্রমাণ করেছেন যে ট্রাই করলে সবাইকে দিয়েই সবকিছু সম্ভব।
What's Your Reaction?