বিনিয়োগকারীদের অবণ্টিত লভ্যাংশ আদায় করবে সিএমএসএফ
বিনিয়োগকারীদের না দেওয়া লভ্যাংশ আদায়ে কোম্পানিগুলোতে দফায় দফায় তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। অলস পড়ে থাকা লভ্যাংশ খুঁজে বের করে তা আদায়ের পরিকল্পনা করছে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ)।
রোববার (১৬ এপ্রিল) শেয়ারবাজারে বর্ষবরণের আমেজে নবতর উদ্ভাবন সিএমএসএফের তহবিল ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় সিএমএসএফের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এসব তথ্য জানান।
সভাপতির বক্তব্যে নজিবুর রহমান বলেন, বর্তমান শেয়ারবাজার ভাইব্রেন্ট। সামনে আরো ভাইব্রেন্ট হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমরা বিনিয়োগকারীদের দাবি আদায়ে কাজ করছি। বিনিয়োগকারীদের দাবি নিষ্পতি হচ্ছে। এটা চলমান থাকবে।
অবন্টিত লভ্যাংশ আদায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চেষ্টা করছি অলস পড়ে থাকা লভ্যাংশ খুঁজে বের করতে। এই ব্যাপারে পরিকল্পনা করেছি। এরই লক্ষ্যে ব্যাংক-বিমার বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বিনিয়োগকারীদের পাওনা লভ্যাংশের (ডিভিডেন্ড) এক টাকাও ছাড় দেওয়া হবে না। সুদে আসলে সব আদায় করা হবে। কোনও অজুহাত শোনা হবে না। লভ্যাংশ ফেরত না দিলে অভিযুক্ত কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাবো।
যেসব কোম্পানি এখনও অবণ্টিত লভ্যাংশ তহবিলে জমা করেনি তাদের চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।
শিবলি রুবাইয়াত বলেন, “আমরা অনেক সময় দিয়েছে এবং অপেক্ষা করেছি। চলতি মাসের পরে আর সময় দেওয়া হবে না। ৩১ মার্চের পরে কমিশন কঠোর হবে।
“কোনো কোম্পানি যদি চলতি মাসের মধ্যে যদি ওই লভ্যাংশের হিসাব দিতে না পারে এবং ফান্ড কোথায় রয়েছে, তা বলতে না পারে ও স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে স্থানান্তর না করে, তাহলে কমিশন কঠোর ব্যবস্থা নেবে। অবণ্টিত লভ্যাংশের থেকে কয়েকগুণ বেশি জরিমানা হবে।”
মঙ্গলবার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও শেয়ারহোল্ডারদের দাবি মীমাংসা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বিএসইসি চেয়ারম্যান এই হুঁশিয়ারি দেন।
পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত কোম্পানির অবণ্টিত লভ্যাংশ চলতি ৩১ মার্চের মধ্যে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলে (সিএমএসএফ) জমা করার নির্দেশ দিয়ে এর আগে কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়েছিল বিএসইসি।
প্রসঙ্গত, সিএমএসএফ ইতোমধ্যে ৫৩৭ বিনিয়োগকারীর নগদ ১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার ৮৮২ টাকা এবং ২০৩ জন বিনিয়োগকারীর ২ লাখ ৪ হাজার ২০৪টি শেয়ারের দাবি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে ৬৪ জন বিনিয়োগকারী ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২৩২ টাকা এবং ৪৮ জন বিনিয়োগকারীর ৬২ হাজার ৫৫৬টি শেয়ারের দাবি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, ড. মো. মিজানুর রহমান, ডিএসইর নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম প্রমুখ।
What's Your Reaction?