খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ, চলাচল বন্ধ
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বিপুল চাকমাসহ চার ইউপিডিএফ নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ চলছে। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ অবরোধ চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বিপুল চাকমাসহ চার ইউপিডিএফ নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ চলছে। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ অবরোধ চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
অবরোধের ফলে জেলা শহরের সঙ্গে দূরপাল্লার সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। একই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে জেলার আভ্যন্তরীণ সড়কের যান চলাচল। বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়কে অবরোধ করেছেন অবরোধ সমর্থকরা। তবে জেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলা শহরে সীমিত পরিসরে ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
সড়ক অবরোধ চলাকালে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে খাগড়াছড়ি জেলা সদর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে ১১ ডিসেম্বর রাতে পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের দুর্গম অনিলপাড়ায় প্রতিপক্ষের গুলিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বিপুল চাকমা, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, যুব ফোরামের নেতা লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফের সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা নিহত হন।
ইউপিডিএফর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রসীত বিকাশ খীসা বলেন, “আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে আমরা এই সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছি। অবরোধ চলাকালে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবি জানাব।”
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রেজাউল করিম বলেন, “সড়ক অবরোধের কারণে জেলার যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আমরা অবরোধের ফলে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। অবরোধকারীদের সাথে আমরা কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করছি।”
What's Your Reaction?